Monday, March 3, 2025

রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি? Roja Vonger Karon




রোজা ভঙ্গের কারণগুলো সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়:

১. যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় এবং কাজা ও কাফফারা দুটোই واجب (ওয়াজিব) হয়

যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিচের কাজগুলো করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং তাকে শুধু কাজা নয়, বরং কাফফারাও দিতে হবে:

  • ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করা (যে কোনো খাবার, পানি, ওষুধ বা পুষ্টিকর ইনজেকশন গ্রহণ করা)।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করা (পুরুষ বা নারীর শারীরিক মিলন)।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে আবার সেটি গিলে ফেলা
  • কোনো বস্তু গলাধঃকরণ করা (যা খাদ্য বা ওষুধ হিসেবে গণ্য হয়)।

👉 কাফফারা: পরপর ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে, না পারলে ৬০ জন গরিবকে খাওয়াতে হবে।


২. যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় কিন্তু কাফফারা واجب (ওয়াজিব) নয়, কেবল কাজা করতে হবে

  • অজান্তে কিছু খেয়ে ফেলা বা পান করা, পরে মনে পড়ার পরেও খাওয়া চালিয়ে যাওয়া
  • অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করে ফেললে এবং তা পুনরায় গিলে ফেললে
  • নাক বা কান দিয়ে পানি বা ওষুধ পাকস্থলীতে চলে গেলে
  • ইচ্ছাকৃতভাবে রক্ত বের করানো (যেমন, হিজামা, রক্তদান) যদি এতে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • মহিলাদের হায়েজ (মাসিক) বা নিফাস (সন্তান জন্মের পর রক্তপাত) শুরু হলে

👉 এক্ষেত্রে শুধু কাজা রোজা রাখতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না।


৩. যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

  • ভুলবশত খাওয়া বা পান করা (মনে না থাকলে রোজা নষ্ট হবে না, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে দান)।
  • কোনো কিছু মুখে নিয়ে চিবিয়ে ফেলে দেওয়া (যদি তা গলাধঃকরণ না করা হয়)।
  • পানি বা টুথপেস্ট ব্যবহার করে কুলি করা (যদি গিলে না ফেলে)
  • মিসওয়াক বা ব্রাশ করা (যদি টুথপেস্ট না লাগে বা কিছু গিলে না ফেলা হয়)।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি আসার পর তা গলায় চলে না যায়

💡 সংক্ষেপে: ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া, পান করা, সহবাস করা, বা ওষুধ গ্রহণ করলে রোজা ভেঙে যায় এবং কাজা-কাফফারা দুটোই করতে হয়। ভুলবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু হলে শুধুমাত্র কাজা করতে হয়।

📖 তথ্যসূত্র: কুরআন, হাদিস ও ইসলামী ফিকহের বিধান।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: